স্বদেশ ডেস্ক:
আদালত অবমাননা হয়- ভবিষ্যতে আর এমন বক্তব্য দেবেন না বলে হাইকোর্টে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। আজ বুধবার হাইকোর্টের কাছে লিখিতভাবে এ অঙ্গীকার করেন তিনি।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে অঙ্গীকারনামা পেশ করেন নুর। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
আদালতে নুরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আদালতে নুরুল হক নুর বলেন, ‘ভবিষ্যতে পাবলিক স্পেসে বক্তব্য দেওয়ার সময় আমি সতর্ক থাকব। আদালত অবমাননা হয় এমন কোনো বক্তব্য দেব না।’
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে আদালত অবমাননার ঘটনায় নুর হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেদিন হাইকোর্ট বলেছিলেন, নুরুল হক নুর লিখিত ব্যাখ্যায় ভবিষ্যতে আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য না দেওয়ার বিষয়ে কোনো অঙ্গীকার করেননি। আদালত তখন আরও বলেন, ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে জুডিশিয়ারির মর্যাদা রক্ষায় যে আদেশ দেওয়া দরকার উচ্চ আদালত সেই আদেশ দেবেন।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে নুরকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন আদালত।
তার আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে নুরের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে এক সমাবেশে আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে নুর আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হয়।